মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রুমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের গজারিয়া কাজী বাড়ীর সৌদিআরব প্রবাসী মো: ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও তিনজন আহত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে।
জানা গেছে, সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ গুনবতী জোনাল অফিসের লোকজন গিয়ে গজারিয়া কাজী বাড়ীর প্রবাসী ইউসুফ মিয়ার পুরনো মিটার খুলে নতুন মিটার লাগায়। এ সময় আর্থিং রডে বিদ্যুৎ এর উপস্থিতি বুঝতে পেরে ইউসুফের স্ত্রী রুমা বেগম বিদ্যুৎ এর লোকজনকে লাইনটি পুনরায় চেক করে দেখতে বলেন। তারা লাইন মেরামতের জন্য অতিরিক্তি ৫০০ টাকা দাবি করলে রুমা বেগম তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকজন মিটারের লাইনটি মেরামত না করে অরক্ষিত অবস্থায় আর্থিং রডটি রেখে চলে যায়। পরে হাঁটাচলার এক পর্যায়ে ওই আর্থিং রডের তারে হাত লাগলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে রুমা বেগম ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৩ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো: একই বাড়ীর ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগম (৪৫), আবুল কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০) ও জয়নাল আবেদীনের মেয়ে আইরিন আক্তার (১৫)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফেনীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত রুমা বেগমের ভাশুরের ছেলে আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, ‘মাত্র ৫০০ টাকা দিতে না পারায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে আমার চাচী বিদ্যুৎস্পষ্টে মৃত্যুবরণ করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি’।
এ ব্যাপারে গুনবতী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। পুলিশও ঘটনাস্থলে রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যু সংবাদ শুনেছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page